নিজস্ব প্রতিবেদক:
কক্সবাজার সদরের ঝিলংজা ইউনিয়ন পরিষদের সেবা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। অফিস সময়ে চেয়ারম্যানকে পাওয়া যায় না। প্যানেল চেয়ারম্যানগণও প্রায় সময় অনুপস্থিত থাকেন। সেবার জন্য গিয়ে উল্টো ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন জনগণ। সদরের অতি গুরুত্বপূর্ণ এই ইউনিয়নে অনেকটা অচল অবস্থা দেখা দিয়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) বেলা আড়াইটার দিকে ঝিলংজা ইউনিয়ন পরিষদের সেবা কার্যক্রমের বিষয়ে সরেজমিন অনুসন্ধানে যায় সিবিএন টিম।
ওই সময় একজন মহিলা মেম্বার ও দুইজন পুরুষ মেম্বারকে দেখা যায়। চেয়ারম্যান মেম্বারদের জন্য অপেক্ষা করছেন অনেকে। দিনভর অপেক্ষার পর ফেরত গেছেন সেবা প্রার্থীরা।
এ সময় ইউপি সচিব এনামুল হকের সঙ্গে কথা হয়। কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে চাইলে বলেন, চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলার পর থেকে একফাঁকে পরিষদে আসেন। প্রয়োজনীয় কাগজপত্রে স্বাক্ষর করে চলে যান।
তবে ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন বিপরীত। তাদের ভাষ্য, প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে পরিষদে আসছেন না চেয়ারম্যান টিপু সুলতান। স্বাক্ষর দরকার এমন কাগজপত্র জমা নেন অফিস সহকারী রহিম উদ্দিন। পরে আত্মগোপনে থাকা চেয়ারম্যানের নিকট থেকে স্বাক্ষর নিয়ে জনগণকে সরবরাহ করেন। পরিষদে উপস্থিত না থাকলেও রেজিস্ট্রারে ঠিকই তার স্বাক্ষর দেখা যায়।
চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে স্বাক্ষর কিভাবে নেওয়া হয় জানতে চাইলে রহিম উদ্দিন বলেন, অফিস না করলেও এক ফাঁকে এসে স্বাক্ষর দিয়ে চলে যান। চেয়ারম্যান।
এদিকে, কর্মস্থলে পাঁচ দিন উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও সচিব এনামুল হক নিজেই অফিস করেন দুই-তিন দিন। সে কারণে সাচিবিক কাজের জটিলতায় পড়তে হচ্ছে জনগণকে।
সেবা প্রার্থীদের অভিযোগসহ সার্বিক চিত্র সম্পর্কে জানতে পরিষদে গেলে চেয়ারম্যান টিপু সুলতানকে পাওয়া যায় নি।
তবে পরিষদের কার্যক্রম স্বাভাবিক আছে বলে এসএমএস এর মাধ্যমে তিনি জানিয়েছেন। টিপু সুলতান দাবি করেন, দলীয় সুবিধাবাদি কিছু লোক তার পেছনে লেগেছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক রুবাইয়া আফরোজ বলেন, যে সমস্ত চেয়ারম্যান-মেম্বার ইউনিয়ন পরিষদে অনুপস্থিত তাদের বিরুদ্ধে বিধিগতভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।